| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব শ্রবণ প্রতিবন্ধীরাও সাংকেতিক ভাষায় কুরআন শিখছেন


শ্রবণ প্রতিবন্ধীরাও সাংকেতিক ভাষায় কুরআন শিখছেন


মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক     06 July, 2022     06:39 AM    


সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুদের পাশাপাশি শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী শিশুরাও সমাজেরই অংশ। তবে প্রতিবন্ধকতা থাকায় সুস্থ ও স্বাভাবিক বাচ্চাদের তুলনায় শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জটিল। এমনকি প্রায়শই অনেককে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। একইভাবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হতে হয়। আর এই সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকেই ইন্দোনেশিয়ার একটি স্কুল সাংকেতিক ভাষায় শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা দিচ্ছে।  মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কীভাবে প্রায়শই ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় সে সম্পর্কে উদ্বেগ থেকেই একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আব্দুল কাহফি নামে দেশটির এক ধর্মগুরু। মূলত সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন এবং তিলাওয়াতে সহায়তা করতেই ওই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। আব্দুল কাহফি নামে ইন্দোনেশীয় ওই ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের নাম দারুল আ’শোম। ২০১৯ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির মধ্য জাভার যোগিয়াকার্তা শহরে স্কুলটি চালু করা হয়। স্কুলটিতে এখন ১২ জন স্টাফ রয়েছেন এবং বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের ১১৫ জন শিক্ষার্থীকে সেখানে পবিত্র কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। এসব শিক্ষার্থীর বয়স ৭ বছর থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।

আব্দুল কাহফির আশা, স্কুলটি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ইসলাম সম্পর্কে জানা আরও সহজ করে তুলবে। তার স্কুলের প্রতি আগ্রহ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।আজকাল শ্রবণ-প্রতিবন্ধী প্রাপ্তবয়স্করা খুব কমই ধর্মকে গভীরভাবে জানে কারণ স্কুল বয়স থেকে তারা কখনোই এটি সম্পর্কে শেখেনি। ইন্দোনেশিয়ায় পাবলিক স্কুলের পাঠ্যক্রমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য সীমিত ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। মূলত কিন্ডারগার্টেনের পরিবর্তে আট বা নয় বছর বয়সে এই ধরনের শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা শুরু হয়। শ্রবণ-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সাধারণত স্কুলে কুরআন তিলাওয়াত শিখতে এবং মুখস্থ করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় নেয়।

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় হাজার হাজার ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল (মাদরাসা) এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্কুল রয়েছে। আর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায়শই দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষা লাভের একমাত্র উপায় হিসেবে কাজ করে থাকে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের জরিপ অনুসারে, ইন্দোনেশিয়ায় প্রতি ১০ জন প্রতিবন্ধী শিশুর মধ্যে মাত্র তিনজন স্কুলে যেতে সক্ষম